মামলা নং- ৩০/ ২০১১
তারিখ- ১৫/ ১২/২০১১ইং
বাদী: কামাল মিয়া, পিতা: মৃত মাহমুদ আলী, গ্রাম: মহেষগৌরী, ডাক: ইসলামগঞ্জ বাজার, উপজেলা: কুলাউড়া, জেলা: মৌলভীবাজার ।
বিবাদী: ১। মোঃ মায়া মিয়া, পিতা মৃত: আপ্তাব আলী,
২। সাইফুল ইসলাম, পিতা মৃত: তারা মিয়া
উভয় সাং- মহেষগৌরী, ডাক: ইসলামগঞ্জ বাজার, উপজেলা: কুলাউড়া, জেলা: মৌলভীবাজার।
বাদী পক্ষের সালিশ:১। জনাব আব্দুস ছালাম, ইউ/পি সদস্য
২। জনাব মোঃ আজমল আলী, পিতা- মৃত ইরফান আলী,
গ্রাম ও ডাক: ভুকশিমইল, উপজেলা: কুলাউড়া, জেলা: মৌলভীবাজার।
বিবাদী পক্ষের সালিশ:১। জনাব মাতাব আলী, ইউ/পি সদস্য
২। জনাব রফিক মিয়া, পিতা: আবরম্ন মিয়া,
গ্রাম: মহেষগৌরী, ডাক: ইসলামগঞ্জ বাজার, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার ।
বাদীর স্বাক্ষী: ১। মোঃ রকিব খান, পিতা মৃত : আমিন আলী খান ,
২। হাজী নামর আলী , পিতা: মছদ্দর আলী
৩। ফয়জুর রহমান কুটু , পিতা মৃত: ইনাম উলস্নাহ
৪। মিলন খাঁ, পিতা মৃত: মাছিম খান
সর্ব সাং মহেষগৌরী, ডাক: ইসলামগঞ্জ বাজার, উপজেলা: কুলাউড়া, জেলা: মৌলভীবাজার।
বাদী ও বিবাদীর উভয় পক্ষের মানিত সালিশগন নিয়া গ্রাম আদালত গঠন করা হয়। যথানিয়মে বাদীর দরখাস্থ গ্রহন করিয়া বিবদীগনকে আদালতে উপস্থিত হইয়া জওয়াব দাখিলের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। ১নং বিবাদী ও ২নং বিবাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা প্রদান করেছেন। ১নং বিবাদী ও বাদী পক্ষ স্ব-স্ব পক্ষের সালিশ মান্য করিয়াছেন। মোট ১১টি কার্য্য দিবসে আদালত মামলার কার্য্যক্রম অব্যাহত রাখে। বাদীর জবানবন্দি, বিবাদীর জবানবন্দি ও বাদী পক্ষের স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষ্য আদালতে ক্রমান্বয়ে গ্রহণ করা হয়। বাদী পক্ষের ২ জন সালিশ ও বিবাদী পক্ষের ১ জন সালিশ মোট ৩ জন সালিশের উপস্থিতিতে আদালত মামলার পূর্নাঙ্গ সিদ্ধামেত্মর জন্য কার্য্যক্রম গ্রহণ করে।
অদ্য ১৪/০৩/২০১২ইং তারিখে ৩ জন সালিশের উপস্থিতিতে ও বোর্ডের সভাপতি সহ ৪ জন বাদীর জবানবন্দি ও বিবাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করিয়া তাহাদের সহিত ব্যাপক জেরা করা হয়। স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর সালিশ বৃন্দ স্বাক্ষীগনের সহিত জেরা করেন এবং পয়েন্ট আকারে জেরার বিষয় যথাযথ ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়। ব্যাপক জেরা হইতে প্রতীয়মান হয় যে, বাদীর দাখিলীয় দরখাস্থের প্রেক্ষিতে মামলার বিষয়ে বিস্থর আলোচনা করার দাবী রাখে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালত নিমণলিখিত বিচার্য্য বিষয়ে উপনীত হইল:-
আলোচনা
১। নালিশী ভূমি বাদী পক্ষের দখলে রহিয়াছে কি না ?
২। বিবাদী পক্ষ উক্ত নালিশা ভূমি জোরপূর্বক জবর দখলে রাখিয়াছেন কি না ?
৩। নালিশা ভূমি বাদী পক্ষের খরিদা সম্পত্তি কি না? এবং ইহার স্বপক্ষে কোন কাগজাত আছে কি না ?
৪। বিবাদীগন জবর দখল করেছে কি না ?
৫। বিবাদী পক্ষ আদালতে তাহাদের সমর্থনে কোন বৈধ কাগজাদি দাখিল করেছেন কি না? করিলে ইহার কোন যৌক্তিকতা আছে কি না ?
৬। সরেজমিনে জরিপকারক দ্বারা জরীপ করাইয়া সীমানা নির্দ্ধারন করা হয়েছে কি না ?
৭। বিবাদীপক্ষ আদালতে সাফাই স্বাক্ষী দিয়াছেন কি না ?
৮। বাদীপক্ষ অভিযোগের সত্যতা প্রমান করিতে সর্মথ হইয়াছেন কি না ?
৯। আসামীগনের বিরম্নদ্ধে র্কায্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় কি না ?
যেহেতু উপরোক্ত ৯ টি বিষয় পরস্পর সম্পৃক্ত ও আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে, সেহেতু নিমেণ ইহার বিশেস্নষণ করা হইল ।
১। নালিশা ভূমি বিবাদী পÿÿর জবর-দখলে আছে।
২। নালিশা ভূমি বাদী পÿÿর খরিদা সম্পত্তি, যাহার রেজি: দলিল আদালতে পাওয়া গিয়াছে।
৩। নালিশা ভূমি বাদী পক্ষের খরিদা স্বত্ত্ব প্রমানিত হইয়াছে। যাহা সাফ কবালয় রেজি: দলিল নং- ২৬২ তাং ০৯/০১/২০০৫ইং, মূলে বাদী খরিদ করিয়াছেন, ইহা একটি বৈধ দলিল বটে। জমির পরিমান ১৩ শতক বাড়ী রকম ভূমি। মৌজা কুরবানপুর, জে এল নং- ২১, খতিয়ান নং- ১৪০১, দাগ নং- ৫৯৫২, ইহা বাদী পক্ষের স্বত্ত্ব হিসাবে গণ্য করা হইয়াছে।
২। উক্ত ভূমির পাশ্বর্বতী দক্ষিনাংশে বিবাদীগনের জমি থাকায় তাহাদের জমির সহিত ৩(তিন) শতক জমি বিবাদীগন জবর দখলে রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বাদী মোঃ কামাল মিয়ার দাখিলকৃত দলিলমূলে দেখা যায় তার গোষ্ঠির নিকটাত্মীয় মছকন্দ আলী গং দের পিতা আরজদ আলীর নামে ১৯৫৬ সালের সেটেলমেন্ট জরিপে ৫৯৫২ নং দাগে এরিয়া ১৩ শতক ফাইনেল রেকর্ডভূক্ত হয়। ইহার আলোকে মছকন্দ আলী উত্তরাধিকারী সূত্রে তার পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক তিনি এবং তার এক বোন জমিলা নেছা এই দুইজনে সাকুল্য সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে গত ০৯/০১/২০০৫ইং তারিখে ২৬২ নং রেজি: কবালা মূলে বাদী কামাল মিয়া ও তার অপর ৪ ভাই সহ মোট ৫ জনের নামে রেজি: করিয়া সত্ত্ব সম্পর্কীয় দাবী পরিত্যাগ করিয়া বাদীকে সমজাইয়া দিয়াছেন। বাদী ও বিবাদীগনের সম্মতিক্রমে গত ১৬/০২/২০১২ইং তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মি: জসিম উদ্দিন ও গ্রাম কুরবারপুর নিবাসী সনদপাপ্ত সার্ভেয়ার জনাব নজরম্নল ইসলাম সম্মিলিতভাবে পরিমাপ করিয়া যে রিপোর্ট প্রদান করেন এবং সরেজমিনে খুঁটি মারিয়া যে চিহ্ন দেন এতে দেখা যায় বিবাদীগণ বাদীর প্রায় উত্তরে-দক্ষিণে (৩০র্+৩৪র্) গড়ে ৩২র্ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ১৭০র্ ফুট দৈর্ঘ্য জায়গা দখল করিয়াছেন, যা বর্তমানে পতিত হিসাবে বিদ্যমান ।
অতএব, গ্রাম আদালত এই সিদ্ধামেত্ম উপনীত হইল যে বাদীর রেকর্ডিয় ১.৮৫ (এক শতক পঁচাশি পয়েন্ট) শতক ভূমি শামিত্মপূর্ণ ভোগ দখলে বাধা/বিঘ্ন সৃষ্টি না করার জন্য বিবাদীগনকে আদেশ দেওয়া গেল। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকরী হইবে। উভয় পক্ষকে নির্দেশক্রমে জানানো হইল ।
স্বাক্ষরিত/-
(মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু)
চেয়ারম্যান
ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদ
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS